পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ৪৭ টি জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার

19th May 2021 5:38 pm বর্ধমান
পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ৪৭ টি জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : হেপাজতে নেওয়া অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে চালানো পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হল ৪৭ টি জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার। এইনিয়ে গত ৪ দিনে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশের চালানো অভিযানে উদ্ধার হল মোট ৬২ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। কালোবাজির উদ্দেশ্যেই এই অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলি মেমারি থানার পাহাড়হাটি এলাকার বিভিন্ন গোডাউনে মজুত করে রেখা হয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। কোভিডের চিকিৎসার জন্যে পুলিশ কর্তারা উদ্ধার হওয়া সমস্ত  অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলি স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।   পুলিশ জানিয়েছে ,গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ গত রবিবার পাহাড়হাটির একটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের গোডাউনে হানা দেয়।গোডাউনে  অভিযান চালাতেই উদ্ধার হয় ১০ টি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার।  এই ঘটনার পরেই পুলিশ মেমারির জাবুই গ্রাম নিবাসী গোডাউন মালিক দীপঙ্কর দত্তকে গ্রেপ্তার করে ।ওই দিনই মেমারি শহরের একটি ডেরা থেকেও পুলিশ আরও ১ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করে। একই দিনে জেলায় কালনা থানার পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় ৭ টি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার।বেআইনি ভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কালনার ৩ বাসিন্দা । আর মেমারি থানার পুলিশ আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার ওদ্ধার ও চক্রের বাকিদের খোঁজ পেতে ধৃত দীপঙ্কর দত্তকে সোমবার বর্ধমান আদালত পেশ করে ৪ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেয়। সোমবারও দীপঙ্কর দত্তর অন্য একটি ডেরা থেকে পুলিশ চারটি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার করে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে ।এরপর বুধবার পুলিশ দীপঙ্কর দত্তর অন্য গোডাউন থেকে উদ্ধার করলো আরও ৪৭ টি জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার। 

এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন ,“দীপঙ্কর দত্তকে হেপাজতে নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার অবৈধ ভাবে মজুত করে রাখার  খবর জানতে পারা যায় ।বুধবার ধৃত দীপঙ্কর দত্তকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পাহাড়হাটির অন্য একটি গোডাউনে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৪৭ টি জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার হয় । তার মধ্যে বেশ কয়েকটি  সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভর্তি রয়েছে।এসডিপিও দাবি করেন ,গত রবিবারের পর থেকে ৪ দিনে মেমারি থানাএলাকা থেকে ৬২ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উদ্ধার হল । কালোবাজারির উদ্দেশ্যেই এইসব অক্সিজেন সিলিন্ডায় মজুত করা হয়েছিল বলে পুলিশ নিশ্চিৎ হয়েছে  । অভিযান জারি থাকবে বলে এসডিপিও এদিন জানিয়ে দেন” । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।